মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অ্যা’ডলফ হি*টলারের ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলি সহ মহিলাদের আরও সন্তান ধারণে উৎসাহিত করার উপায়গুলি বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জন্মহার হ্রাসের উদ্বেগের মধ্যে মহিলাদের আরও সন্তান ধারণে উৎসাহিত করার জন্য কর্মী এবং জন্ম সমর্থকদের সাথে বৈঠক করছেন।
একটি প্রস্তাবে মায়েদের সন্তান জন্মদানের পরে $5000 নগদ “শিশু বোনাস” দেওয়া হচ্ছে। আরেকটি ধারণা বিবেচনা করা হচ্ছে ছয় বা তার বেশি সন্তান ধারণকারী মায়েদের “জাতীয় মাতৃত্ব পদক” প্রদান করা, যা পূর্বে হিটলার এবং জোসেফ স্ট্যালিনের মতো কর্তৃত্ববাদী বিশ্ব নেতারা ব্যবহার করতেন।
১৯৩০-এর দশকে নাৎসি জার্মানিতে, হিটলার “জার্মান মায়ের ক্রস অফ অনার” প্রবর্তন করেছিলেন, যা জার্মান ঐতিহ্যের “সন্তানসমৃদ্ধ” মায়েদের দেওয়া একটি আলংকারিক পদক ছিল, জার্মান ইহুদিদের বাদ দিয়ে।
ছয় বছর পর স্ট্যালিনও একই পদক্ষেপ নেন এবং কমপক্ষে সাত সন্তানধারী মায়েদের “অর্ডার অফ মাদারনাল গ্লোরি” প্রদান করেন। ১৯৯১ সালে দেশটির পতনের আগ পর্যন্ত ১০ বা তার বেশি সন্তান লালন-পালনকারী সোভিয়েত নারীদের “মাদার হিরোইন” খেতাবে ভূষিত করা হত। ২০২২ সালে, বর্তমান রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এই পুরষ্কারটি ফিরিয়ে আনেন এবং ১ মিলিয়ন রুবেল অর্থ প্রদান করেন, যা ১২,০০০ ডলারেরও বেশি।
হোয়াইট হাউস অবিবাহিত ব্যক্তিদের বিবাহের জন্য উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ধারণা বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে, যার মধ্যে “বিবাহিত বা সন্তানধারী আবেদনকারীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ, সরকার-সমর্থিত আন্তর্জাতিক ফেলোশিপ ফুলব্রাইট প্রোগ্রামের জন্য ৩০% বৃত্তি সংরক্ষণ করার প্রস্তাব” অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এক বিবৃতিতে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন যে প্রশাসন “আমেরিকান পরিবারগুলিকে উন্নত করার জন্য গর্বের সাথে নীতি বাস্তবায়ন করছে।”
“রাষ্ট্রপতি চান আমেরিকা এমন একটি দেশ হোক যেখানে সমস্ত শিশু নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারে এবং আমেরিকান স্বপ্ন অর্জন করতে পারে,” লিভিট বলেন। “একজন মা হিসেবে, আমি এমন একজন রাষ্ট্রপতির জন্য কাজ করতে পেরে গর্বিত যিনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত দেশ রেখে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছেন।”