সতিন কথাটির নাম শুনলেও মানুষ চমকে ওঠে। অথচ একই সাথে নাকি ৮ সতিন ঘর করছেন এক স্বামীর সাথে। হ্যা, এটি কোনো গল্প নয়। এমনই ঘটনা ঘটিয়েছেন থাইল্যান্ডের এক যুবক। যার নাম ওং ড্যাম সোরোট।
একটি কথা আছে না- ‘ন্যাড়া বেলতলায় কবার যায়!’ এখন প্রশ্ন হচ্ছে থাইল্যান্ডের ঐ যুবক কেন টানা ৮ বার বেলতলায় গেলেন? আবার এটাও প্রশ্ন তার স্ত্রীরাও কেন জেনে জেনে তাকে বিয়ে করলেন? তবে অনেকে দাবি করেছেন, সোরোটের প্রচুর সম্পত্তির লোভে পড়েই আট জন নারী তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। কিন্তু, বাস্তবে সোরোটের দাবি, তিনি সামান্য এক ট্যাটু শিল্পী। তার তেমন সম্পত্তিও নেই। তবে তার স্ত্রীরা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু করেন। আর এর ফলে সংসার চালাতে তার কোনো সমস্যা হয় না ৷
তবে বিষয়টা জানাজানি হওয়ার পরে গোটা বিশ্বে যেন ঝড় ওঠে। তাইতো বিশ্বের সকল পুরুষদের কাছে তিনি এখন বিস্ময় বালক হয়ে দাড়িয়েছেন। যেখানে তারা এক স্ত্রী সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে সেখানে খুব সহজেই ৮ স্ত্রী সামলাচ্ছে সোরোট। বাংলাদেশে ‘চার সতিনের ঘর’ নামে একটি সিনেমা আছে। সেটি দেখেই অনেকে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল এগুলো হয়তো সিনেমাতেই সম্ভব। কিন্তু বাস্তবেই আছে ৮ সতিনের ঘর।

থাইল্যান্ডের মাধ্যমের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, ওং ড্যাম সোরোট নামে ওই ব্যক্তি পেশায় এক জন ট্যাটু শিল্পী। আর এই ৮ স্ত্রীকে নিয়ে খুবই সুখে সংসার করছেন বলে দাবি ঐ যুবকের। দেশে বর্তমানে এক স্ত্রীর সাথেই ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে যাচ্ছেন পুরুষেরা। আর সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ৮ স্ত্রীদের মধ্যে কোন সমস্যাই হয় না। তারা সবাই তাকে প্রচন্ড ভালোবাসেন। আর আট স্ত্রীও তাকে খুব ভালবাসেন, যত্ন নেন। এজন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে দাবি করেছেন সোরোট।
তবে বাংলাদেশে পুরুষরা প্রথম স্ত্রী বা একাধিক স্ত্রীদের কথা গোপন রেখে বিয়ে করলেও তা করেননি এই বিস্ময় যুবক। আট স্ত্রীর প্রত্যেকের প্রেমে পরেই তাদের বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন সোরোট।

তাছাড়া আগের স্ত্রীদের কথা তিনি প্রেমে পড়ার সময়ই জানিয়ে দেন। কিভাবে আটজন স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হলো সেই ঘটনা সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন সোরোট। প্রত্যেকের সাথেই প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েছিলেন তিনি তারপর বিয়েও করেন তাদের। প্রথম স্ত্রী নাং স্প্রাইটের সাথে এক বন্ধুর বিয়েতে গিয়ে আলাপ হয়। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েন তার পর বিয়েও করেন তাকে।
দ্বিতীয় স্ত্রী নাং এলকে দেখেছিলেন বাজার করতে গিয়ে। তৃতীয় স্ত্রী নাং নেনের সাথে আলাপ হয় হাসপাতালে। চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্ত্রীর সঙ্গে সোরোটের আলাপ হয় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে।

মায়ের সঙ্গে এক মন্দিরে পুজা দিতে গিয়ে সপ্তম স্ত্রী নাং ফিল্মের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সোরোটের। তার সাত স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে গিয়ে আলাপ নয় অষ্টম স্ত্রী নাং মেইয়ের সাথে। প্রথম স্ত্রীর পক্ষে এক ছেলে রয়েছে সোরোটের। এছাড়া দুজন স্ত্রী সন্তানসম্ভবা।
ঘরে আরো বউ আছে জেনেও কেন সোরোটের প্রেমে পড়েছিলেন জানতে চাইলে তার সব বউরা এক কথায় স্বীকার করে নেন যে, ‘পাগলের মতো’ সোরোটের প্রেমে পড়েছিলেন তারা। একই ছাদের নিচে সকল সতীনের মানিয়ে নিতে কোনো অসুবিধাই হয় না বলে জানিয়েছেন সোরোটের স্ত্রীরা। তাছাড়া সেরোটা এতই রোমান্টিক যে সব স্ত্রীদেরকে সন্তুষ্ট রাখতে তার কোন সমস্যাই হয় না।
