ঐশ্বরিয়া রায়, যার কথা জানে না বা শুনেনি এমন মানুষ এই উপমহাদেশে কমই পাওয়া যায়। একসময় তিনি বিশ্বসুন্দরী। তার বয়স ৫০ এ গড়ালেও রূপের ঝলক একটুকুও কমে যায়নি। বিশ্বসুন্দরী হিসেবে খ্যাতি পাওয়ার পরপরই তিনি নিজের সৌন্দর্য ও কর্মদক্ষতায় বলিউডে জায়গা করে নেন ঐ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে।
এরপর তার আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সিনেমায় সফলতা দেখিয়েছেন দাপটের সহিত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সেলিব্রিটিদের সঙ্গে যোগ দিতে দেখা যায় ঐশ্বরিয়া রায়কে। মাঝে মাঝে তার সঙ্গে কন্যা আরাধ্যাও থাকেন। তবে এই ধরনের অনুষ্ঠানে তার সৌন্দর্য দেখে এখনো মুগ্ধ হন ভক্তকূলেরা। কেউ বিশ্বাসই করতে পারে না যে তার বয়স এখন একান্ন বছর।

এক সময়ের এই বিশ্বসুন্দরীর সৌন্দর্য নিয়ে রয়েছে নানা কল্পকথা। তবে সমালোচোকদের বলেন তিনি তার চেহারায় প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন! তবে এসব জল্পনা-কল্পনায় গুরুত্ব না নিয়ে ঐশ্বরিয়া রায় নানা মিডিয়ার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি তার ত্বকের গ্লামার লুক আনতে কোনো সার্জারির আশ্রয় গ্রহণ করেননি। বরং তিনি এতটাই লাকি যে, তার জন্মই হয়েছিল গ্লোয়িং স্কিন নিয়ে, যা এখনো বিদ্যমান আছে।
তবে তিনি তার গ্লামার লুক ধরে রাখার জন্য খাদ্যাভাস ও প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা করে থাকেন। তিনি আরও বলেন, শরীরের সৌন্দর্যের বিষয়ে কোনো ছাড় দেন না। আর এরজন্য তিনি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা ফলো করেন। যেসকল খাবার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে সেই খাবারগুলো নিয়মিত খান। আর তকের জন্য ক্ষতিকর যেমন ভাজা খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, জাঙ্ক ফুড, অ্যা*লকোহল ও ধূ*মপান থেকে একশ হাত দূরে থাকেন।
তার খাবারের মেনুতে প্রচুর পরিমাণে ফল-মূল ও শাক-সবজি থাকে। এছাড়াও ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে বাসায় রান্না করা খাবার ও প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করেন। ঐশ্বরিয়া রায় বিভিন্ন মিডিয়ায় সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, শাক-সবজি ও ফল-মূল খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। চেহারায় সব সময় তারুণ্য ধরে রাখতে খাবার ও সঠিক রুপচর্চা খুবই জরুরি।
চলুন আজ দেখে নিই ত্বকের যত্নে ঐশ্বরিয়া রায় কি ধরনের রুটিন ফলো করেন-ঐশ্বরিয়া রায় নিজের রূপ-যৌবন ধরে রাখতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকেন।
এসব প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এছাড়া ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে তিনি নিয়মিত দই ও শসার রস ব্যবহার করেন। বাজারে পাওয়া প্যাকটজাত প্রসাধনীর চেয়ে প্রাকৃতিক নানা উপাদান দিয়েই তিনি রূপচর্চা করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। আর এ কারণে পঞ্চাশ বছর বয়সে এসেও তিনি তার রপ ধরে রাখতে পেরেছেন। শুধু সৌন্দর্যচর্চায় নয় দেহ ফিট রাখতেও তিনি খাবার টেবিলে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও ফল-মূল রাখেন।
শুধু এখানেই শেষ নয়। তিনি নিয়মিত শরীরচর্চাও করেন। এরজন্য তিনি রুটিন করে জিমেও যান। ঐশ্বরিয়া রায়ের প্রিয় কসমেটিক ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে- ম্যাক, মেবেলিন, ল্যাকমে ও রেভলন। এক সাক্ষাৎকারে এই নায়িকা জানিয়েছেন, কোনো কাজে যখন তিনি বাইরে যান তখন চোখে আইলাইনার ও মাশকারা অবশ্যই ব্যবহার করেন। ঠোঁটে লিপস্টিক ও ব্লাশন হিসেবে গালে গোলাপি, পিচ এবং বাদামি রঙের শেডগুলো ব্যবহার করতে সবেচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো তিনি সবকিছু রুটিনমাফিক ও করেন।