সোমবার ব্রিটেন, ফ্রান্স ও কানাডার নেতারা গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান বন্ধ না করলে এবং সাহায্যের উপর নি’ষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হু*মকি দিয়েছেন, যা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।
শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নতুন অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর এই হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। নেতানিয়াহু সোমবার আগেই বলেছিলেন যে ইসরায়েল পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ নেবে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই দু*র্ভিক্ষের আশঙ্কা করছেন।
“বেসামরিক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা ইসরায়েলি সরকারের অস্বীকৃতি অগ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকিপূর্ণ,” ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
“আমরা পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করি… আমরা লক্ষ্যবস্তু নিষেধাজ্ঞা সহ আরও পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না।”
৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের উপর হা*মলার সময় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী কর্তৃক গৃহীত জি*ম্মিদের মুক্ত করার জন্য হা*মাসকে চাপ দেওয়ার জন্য মার্চের শুরু থেকেই গাজায় চিকিৎসা, খাদ্য এবং জ্বালানি সরবরাহের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।
“স**ন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলিদের রক্ষা করার ইসরায়েলের অধিকারকে আমরা সবসময় সমর্থন করে আসছি। কিন্তু এই উত্তেজনা সম্পূর্ণরূপে অসামঞ্জস্যপূর্ণ,” তিন পশ্চিমা নেতা যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, নেতানিয়াহুর সরকার “এই জঘন্য কর্মকাণ্ড” চালিয়ে গেলে তারা চুপ করে থাকবেন না।
তারা গাজায় তাৎক্ষণিক যু*দ্ধবিরতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের নেতৃত্বে পরিচালিত প্রচেষ্টার প্রতি তাদের সমর্থনও জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে তারা দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অর্জনে অবদান হিসাবে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।