দেশে প্রতিনিয়ত ঘটছে নিত্যনতুন ঘটনা। কোনো কোনো ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। সেরকম ঘটনাই ঘটেছে নড়াইলে। জেলার লোহাগড়ায় উপজেলায় সৌদি আরব প্রবাসী প্রেমিক আশিকুর রহমান সাব্বিরকে (২৫) বিবাহের দাবিতে তার বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক প্রেমান্ধ তরণী। ২৩ মে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে লোহাগড়ার কোটাকোল ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে ওই কলেজছাত্রী অনশন শুরু করেন।

বিষয়টা ভালোভাবে নেয়নি প্রবাসীর পরিবার। সাব্বিরের বাবা হায়দার আলি মেয়েটির সাথে দু*র্ব্যবহারের চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয়দের বাধায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মেয়েটি স্থানীয় একটি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোটাকোল ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে আশিকুর রহমান সাব্বিরের সাথে ৭ মাসে আগে টিকটকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ওই কলেজছাত্রীর। সাব্বির মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলতে থাকেন। দুইজনের ফোনে কথাবার্তার একপর্যায়ে ফোনে আ*পত্তিকর ছবি লেনদেন করা হয়।

আপত্তিকর ওই ছবি দিয়ে মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেন সাব্বির। এরপর মেয়েটি যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে তার ভাইয়ের ফোনে ও ওই ছবি পাঠিয়ে দেন। নিরুপায় হয়ে মেয়েটি আ**ত্ম’হ-ত্যা করতে গেলে পরিবারের লোক বুঝিয়ে রাখে। আজ সকাল ৮টার দিকে মেয়েটি ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন।

ওই কলেজছাত্রী বলেন, আমি যেহেতু এ বাড়িতে এসেছি। আমি আর যাব না। এ বাড়িতে থাকব। আমি এখানে বিষ খাব, গলায় দড়ি নেব। মরে যাব। তাও বাড়ি থেকে যাব না।

তিনি বলেন, টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হওয়ার পর সাব্বিরের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাব্বির আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েছে। সে আমাকে পাসপোর্ট করে বিদেশ নিয়ে যাবে বলেছে। তার সাথে ভিডিও কলে কয়েকবার কথা হয়েছে। আমার কাছ থেকে আ*পত্তিকর ছবি নিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে এখন। ওই ছবি আমার স্বজনদের নিকট দিয়েছে। আমার ম-রে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। আর মরলে এই বাড়িতেই ম-র-ব।

অভিযুক্ত সাব্বিরের বাবা হায়দার মোল্যা বলেন, মেয়েটির সাথে আমার ছেলের কোনো সম্পর্ক নেই। যে সব ছবি দেখাচ্ছে ওগুলো এডিট করা।

তবে সাব্বিরের মা বলেন, সম্পর্ক আছে। মেয়েটি আমার ছেলের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকাও নিয়েছে।

কোটাকোল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ছেলেটির বাবাকে মেয়েটিকে মেনে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছি। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বলেছি। কিন্তু আমাকে তারা গুরুত্ব দেয়নি।

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কেউ জানায়নি। কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।