কুয়েত উপসাগরীয় তেল সমৃদ্ধ একটি ছোট দেশ। এখানে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ বাস করে যার অধিকাংশই প্রবাসী। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। দেশটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাজের দক্ষতা সুনাম অর্জনের ফলে ভিসা প্রক্রিয়ায় বিশেষ অনুমতি প্রথা বাতিল করেছে সরকার। ২০ মে মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।

এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কুয়েত প্রবাসীদের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। ভিসার ধরণ সম্পর্কে না জানিয়ে, তথ্য গোপন করে উচ্চমূল্যে ভিসা বিক্রি করা, ভিসা ব্যবসায় জড়িত ডালাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ও কম খরচে সরকারিভাবে অদক্ষ শ্রমিকের পাশাপাশি নানা পেশায় দক্ষ শ্রমিক আনার বিষয়ে তুলে ধরেন প্রবাসী সাংবাদিকরা।

অ*পরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইরান-সহ কয়েক দেশের শ্রমিক ভিসায় প্রক্রিয়া কঠোরতা আরোপ করে কুয়েত সরকার। বিশেষ অনুমতি প্রথা বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশিদের নতুন ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হলো। বর্তমানে দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় প্রায় তিল লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন বলেন, ‘কুয়েত আসার আগে বাসার কাজে না কি কোম্পানির কাজে– কী ভিসায় আসছেন এবং ভিসার ধরণ সম্পর্কে জেনে বুঝে আসার অনুরোধ করছি। দূতাবাসের মাধ্যমে সত্যায়িত ভিসায় আসার পরে যদি কোনো শ্রমিক চুক্তি অনুযায়ী প্রতারিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে দূতাবাস।’

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘প্রবাসীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যাসহ কোনো ধরনের সমস্যায় সরাসরি দূতাবাসের নির্দিষ্ট বিভাগে সেবা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। নতুন ভিসায় আসার ক্ষেত্রে এখন বাংলাদেশ দূতাবাস ভিসা সত্যায়িত বাধ্যতামূলক করেছে, যাতে কেউ প্রতারণা বা জালিয়াতির শিকার না হয়।’

এ সময় কাউন্সিলর দূতালয় প্রধান মনিরুজ্জামান, মিনিস্টার শ্রম আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।