প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ায় ভারতের বিহারে ২০ বছর বয়সী কন্যাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিলেন বাবা। বাবার বক্তব্য অনুযায়ী পরিবারের সম্মানার্থে এই কাজ করেছেন। যাকে বলে অনার কি***লিং।

বিহারের সমস্তিপুর জেলায় ভিন্ন ব**র্ণে’র প্রেমিকের সাথে সঙ্গে যাওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তি তার মেয়েকে হ*=ত্যা করেছে।

সাক্ষীর মৃ*ত’দে’হ তার বাবা মুকেশ কুমার সিংয়ের টান্ডা গ্রামে বাড়ির বাথরুমে পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে লা*শ’টি খুঁজে পাওয়ার পর পুলিশ অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক মুকেশকে গ্রে*প্তা’র করেছে।

সাক্ষী ৪ মার্চ তার প্রেমিকের সাথে বাড়ি থেকে পালিয়ে নয়াদিল্লিতে চলে যায় এবং সেখানে তারা এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকে। এই ঘটনায় মুকেশ মহিউদ্দিন নগর থানায় নিখোঁজ মা*ম’লা দায়ের করে।

পুলিশ দিল্লিতে সাক্ষীকে খুঁজে পায় এবং মঙ্গলবার তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। মেয়েটির মামা বিপিন কুমার বলেছেন যে তিনি মুকেশের কাছ থেকে সাক্ষীর অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেন, যা সাক্ষীর সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ জাগিয়ে তোলে।

বিপিন তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেয়, তারা মুকেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রথমে মুকেশ জানায় যে সাক্ষী আবার পালিয়ে গেছে। কিন্তু আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর সে তাকে হ*-‘ত্যা করার কথা স্বীকার করে।

পুলিশ সাক্ষীর মৃ*ত’দে’হ তালাবদ্ধ ওয়াশরুমে খুঁজে পায় এবং ম*য়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। একজন কর্মকর্তা জানান যে সাক্ষী এবং তার প্রেমিক একই এলাকায় থাকতেন এবং একসাথে কলেজে পড়তেন। তারা বন্ধু হয়ে ওঠেন, কিন্তু তাদের পরিবার তাদের বিয়ে করতে চাননি কারণ তারা ভিন্ন ব*র্ণে’র ছিল।

কর্মকর্তা বলেন যে সাক্ষী এবং তার প্রেমিক পালিয়ে যাওয়ার পর, প্রেমিকের কিছু আত্মীয় তাদের বাড়ি ফিরে যেতে রাজি করান। এমনকি তারা সাক্ষীকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার একটি ভিডিওও তোলেন। তবে ফিরে আসার পর, সাক্ষীর বাবা খুব ল’জ্জি’ত হয়ে তাকে হ*-‘ত্যা করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা বীরেন্দ্র কুমার সত্যার্থী বলেন যে মুকেশকে গ্রে*প্তা’র করে ১৪ দিনের জন্য কা’রা’গা’রে পাঠানো হয়েছে।

সাক্ষীর মা পুলিশকে জানিয়েছেন যে তিনি জানতেন না যে তার স্বামী তাদের মেয়েকে হ*’-ত্যা করেছে। তিনি বলেন, “যখন আমি আমার মেয়েকে ঘরে পাইনি, তখন আমি আমার ভাইকে জানাই, যিনি মুকেশের কাছ থেকে সাক্ষীর অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, যিনি দাবি করেন যে সে আবার পালিয়ে গেছে।”

এই ঘটনাটি সম্প্রদায়কে হতবাক করেছে এবং লোকেরা বাবার জন্য কঠোর শাস্তি দাবি করছে।