গত ১৬ এপ্রিল শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ঢাকার হজর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লা;শটি পৌঁছায়। পরে নানা প্রক্রিয়া শেষে রাত ২টায় লা;শ;টি বুঝে পান পরিবারের সদস্যরা।

নি;হ;ত নুর আলম ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের উমর খানের ছেলে। তার এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে তার স্ত্রী ৯ মাসের অ;ন্তঃসত্ত্বা বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

স্বজনরা জানান, সংসারের হাল ধরতে ৫ মাস আগে কাজের সন্ধানে উপসাগরীয় দেশ সৌদি আরবে পাড়ি জমান ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নুর আলম খান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ২ মাসের মাথায় গত জানুয়ারিতে সড়ক দু;র্ঘটনায় মা;রা যান তিনি। নানা জটিলতার কারণে তার মৃ’ত্যুর তিন মাস পর লা-শ এসেছে দেশের মাটিতে।

জানা যায়, ছেলে-মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ২০২৪ সালের নভেম্বরে সৌদি আরবে পাড়ি জমান নুর আলম খান। দালালের মাধ্যমে গিয়ে সেখানে কাজ না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে কাজের সন্ধান করেন।

গত ২০ জানুয়ারিতে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে রিয়াদে সড়ক দু*র্ঘটনায় গুরুতর আহ*ত হন তিনি। পরে তাকে রিয়াদ ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জীবন বাঁচাতে এ সময় তার দুটি পা কে*টে ফেলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি মা*রা যান। মৃ*ত্যুর খবরে তার বাড়িতে নেমে আসে শো*কের ছায়া।

নি*হ*তের আত্মীয় মাহফুজ খান জানান, ধার-দেনা করে বিদেশ গেছিলেন আমার ভায়রা নুর আলম খান। পৈতৃক ভিটা বাদে তার কোনো জমি নাই। তার মৃ*ত্যুতে স্ত্রী সন্তানের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে গেছে। কে দেখবে এই সংসার।

তিনি বলেন, ‘নুর আলম প্রবাসে মারা যাওয়ার ৩ মাস পর ম*রদেহ দেশে আসলো। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।’